অর্থনৈতিক সংকটের মুখে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, যা বর্তমান সরকারের নীতিগত ব্যর্থতার ফলাফল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হ্রাস, এবং ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে টানা ২২ মাস ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে, যা নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার সুদের হার বাড়িয়েছে। তবে, এই পদক্ষেপের পরও মূল্যস্ফীতির ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েনি।
এছাড়া, সরকারের সময়ে স্বাক্ষরিত কিছু চুক্তি দেশের আর্থিক অবস্থাকে আরও জটিল করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের আদানি গ্রুপের সাথে করা একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ বর্তমানে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে। এই ধরনের ব্যয়বহুল ও অস্বচ্ছ চুক্তিগুলো দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বেকারত্বের হারও উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় ৩২ মিলিয়ন তরুণ বর্তমানে বেকার বা শিক্ষার বাইরে রয়েছে, যা সামাজিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের মূল কারণ। তারা সুপারিশ করছেন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে স্বচ্ছ ও কার্যকর নীতিমালা গ্রহণ এবং আর্থিক খাতের সংস্কার জরুরি।