তত্ত্বাবধায়কের রায় আগামীকাল দেশজুড়ে নিরাপত্তার চাদর।

ঢাকার হাইকোর্ট এলাকা বর্তমানে নিরাপত্তা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আগামীকাল, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) অনুষ্ঠিতব্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রিভিউ শুনানীর প্রেক্ষিতে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই শুনানীকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা:

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত একটি বিশেষ ব্যবস্থা, যা নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত হয়েছিল। এই ব্যবস্থা ২০১১ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাতিল করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে এই ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি উঠেছে।

রিভিউ শুনানি:

গত ১৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেন। এর আগে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সংগঠনও এ বিষয়ে রিভিউ আবেদন করেছিল। এই রিভিউ শুনানি আগামীকাল, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। 

নিরাপত্তা ব্যবস্থা:

রিভিউ শুনানীকে কেন্দ্র করে হাইকোর্ট এলাকা ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এই শুনানীকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আইন ও প্রক্রিয়া:

রিভিউ শুনানীটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে। এই শুনানীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত নির্ধারিত হবে।

সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব:

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। এটি নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।


তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রিভিউ শুনানীকে কেন্দ্র করে হাইকোর্ট এলাকা ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ও নির্বাচন ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url