বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের ষড়যন্ত্র চলছে: মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান"এই আর্মি শেষ আর্মি নয়, আরও আর্মি আছে"
বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ উসকে দেওয়ার চেষ্টা চলছে: মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান
লন্ডন, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে গৃহযুদ্ধ উসকে দিতে চায়, যাতে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের পথ সুগম হয়—এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক জনপ্রিয় টকশো "টেবিল টক ইউকে"-তে অংশ নিয়ে তিনি বলেন,
“এই দিন দিন নয়, আরো দিন আছে। এই আর্মি শেষ আর্মি নয়, আরো আর্মি আছে।”
তার দাবি, দেশের রাজনৈতিক সংকটকে ঘিরে পরিকল্পিতভাবে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে, যাতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দিয়ে দেশের ভেতরে "ডেভিল হান্ট" নামে একটি অপারেশন চালানো হচ্ছে, যা শেষ পর্যন্ত দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
আন্তর্জাতিক সেনা মোতায়েনের শঙ্কা
মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন,
"যদি এই পরিকল্পনা সফল হয়, তাহলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের সামরিক উপস্থিতির পথ খুলে যাবে। এটি দেশের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।”
তিনি দাবি করেন, বিদেশি শক্তির মদদপুষ্ট একটি মহল বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটকে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাইছে, যেখানে জাতিসংঘের সেনা মোতায়েনের অজুহাত তৈরি হবে।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও বিশেষজ্ঞদের মতামত
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা, দমন-পীড়ন এবং বিরোধী দলগুলোর দফায় দফায় আন্দোলন পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। এ অবস্থায় মেজর (অব.) আখতারুজ্জামানের বক্তব্য নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতা এই আশঙ্কাকে আরও উসকে দিচ্ছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রের কূটনৈতিক তৎপরতা এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে আলোচনার পরিমাণ বেড়ে গেছে।
সরকারের প্রতিক্রিয়া
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের অভিযোগ সরকারের জন্য বেশ অস্বস্তিকর।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট কোন দিকে মোড় নেবে, তা এখনো অনিশ্চিত। তবে গৃহযুদ্ধের মতো শঙ্কার বিষয়টি সামনে আসায় দেশ-বিদেশে এর প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে নানা আলোচনা চলছে।