ট্রাম্পের টুইটে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সর্বনাশ।
যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধ: জেলেনস্কির ভূমিকা ও ট্রাম্পের সমাধান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ইউরো বাংলা খবর
বিশ্ব রাজনীতির অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির যুদ্ধনীতি। একজন মাঝারি সফল কৌতুক অভিনেতা থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া জেলেনস্কি কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি যুদ্ধে জড়িয়ে ফেললেন, যা জেতা সম্ভব নয় এবং শুরু করাও বাধ্যতামূলক ছিল না—এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্লেষকদের মাঝে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সহযোগিতা ছাড়া এই যুদ্ধ কখনোই মীমাংসিত হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র বনাম ইউরোপ: কে কত ব্যয় করেছে?
বিগত দুই বছরে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের তুলনায় ২০০ বিলিয়ন ডলার বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে ইউক্রেনকে। অথচ ইউরোপের অর্থ সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে তেমন কোনো নিশ্চয়তা নেই যে তারা কিছু ফিরে পাবে। তাহলে কেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউরোপের সমান অংশীদারিত্ব দাবি করলেন না? ইউরোপের জন্য এই যুদ্ধ অধিক গুরুত্বপূর্ণ হলেও, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তাৎপর্য কম, কারণ তাদের মাঝে রয়েছে বিশাল আটলান্টিক মহাসাগর।
নির্বাচন না করেও একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ
বিশ্ব রাজনীতির আরেকটি গরম ইস্যু হচ্ছে জেলেনস্কির স্বৈরাচারী আচরণ। তিনি নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা তার জনপ্রিয়তাকে আরও ক্ষুণ্ন করেছে। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, তার জনপ্রিয়তা নেমে গেছে অনেক নিচে। তিনি স্বীকার করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো বিপুল অঙ্কের অর্থের একটি বড় অংশ "নিখোঁজ" হয়েছে, যা যুদ্ধের অর্থ ব্যবস্থাপনায় বিশাল প্রশ্ন তুলেছে।
ট্রাম্পের বিকল্প সমাধান?
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসন দাবি করছেন, তারা রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের অবসানের জন্য সফল আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ট্রাম্পের সমর্থকদের মতে, এটি এমন একটি প্রচেষ্টা যা শুধুমাত্র তার প্রশাসনই বাস্তবায়ন করতে সক্ষম। বাইডেন প্রশাসন কখনোই শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেননি, ইউরোপ ব্যর্থ হয়েছে, এবং অনেকেই মনে করছেন, জেলেনস্কি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান শুধু আর্থিক সুবিধা লাভের জন্য।
একটি বিধ্বস্ত দেশ, অগণিত প্রাণহানি
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হলে, এই যুদ্ধ আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, যা শুধুমাত্র ইউক্রেনের জন্য নয়, পুরো বিশ্বের জন্যই নতুন সংকট তৈরি করবে।
ইউরো বাংলা খবর-এর সঙ্গে থাকুন আন্তর্জাতিক রাজনীতির সর্বশেষ আপডেটের জন্য।