ফ্রান্সে স্বপ্ন পূরণের নতুন দুয়ার: কৃষি, গৃহস্থালি ও রেস্টুরেন্ট কর্মীদের জন্য সহজ পেপার পাওয়ার সুযোগ!


ফ্রান্স থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি-
ফ্রান্সের শ্রমবাজারে কর্মচারীর অভাব মেটাতে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। শ্রমমন্ত্রী ম্যাডাম Astrid Panosyan-Bouvet সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, "Métiers en tension" বা যে সকল পেশায় কর্মচারীর অভাব রয়েছে, তার তালিকায় কৃষিকাজ, গৃহস্থালির কাজ এবং রেস্টুরেন্ট সেক্টরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে এই খাতে কর্মরত অভিবাসীরা মাত্র তিন বছরের উপস্থিতির প্রমাণ ও বেতনের স্লিপ দিয়েই পেপারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
শ্রমিক সংকট ও সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত

ফ্রান্সে বেশ কিছু সেক্টরে কর্মীর সংকট দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে কৃষি, হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও গৃহস্থালির কাজে। দীর্ঘদিন ধরে এই খাতগুলোতে প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, কিন্তু পেপার জটিলতার কারণে অনেকেই আইনি স্বীকৃতি পান না।

শ্রমমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের ফলে, তিন বছর ধরে বৈধ বা অবৈধভাবে কাজ করা কর্মীরা সহজে তাদের পেপার পাওয়ার আবেদন করতে পারবেন। তবে, এটি কার্যকর করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে, যার মধ্যে রয়েছে:

তিন বছর ফ্রান্সে বসবাসের প্রমাণ।

নিয়মিত বেতনের স্লিপ এবং চাকরির প্রমাণ।

সংশ্লিষ্ট সেক্টরে কর্মরত থাকার নিশ্চিতকরণ।


মূল বাধা কোথায়?

যদিও শ্রমমন্ত্রী পেশাগত তালিকা সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়েছেন, তবে চূড়ান্ত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব অর্থমন্ত্রী ব্রুনো খতাইয়ুর ওপর নির্ভর করছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া এই নিয়ম পুরোপুরি কার্যকর হবে না। অতীতে দেখা গেছে, ফ্রান্সে অভিবাসন সংক্রান্ত অনেক নীতিই আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে বিলম্বিত হয়েছে বা পরিবর্তিত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে অনেক অভিবাসী বৈধভাবে ফ্রান্সে বসবাস ও কাজের সুযোগ পাবেন। তবে, সরকারের উচ্চপর্যায়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অভিবাসীদের অপেক্ষা করতে হবে।

প্রবাসীদের জন্য করণীয়

যারা এই সুযোগ নিতে চান, তাদের জন্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন:

তিন বছরের বসবাসের যথাযথ প্রমাণ সংগ্রহ করুন।

চাকরির চুক্তি ও বেতনের স্লিপ সংরক্ষণ করুন।

পেপারের জন্য আবেদন সংক্রান্ত নতুন ঘোষণাগুলোর প্রতি নজর রাখুন।

ফ্রান্সের অভিবাসী সমাজের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হতে পারে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের অপেক্ষায় থাকতে হবে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url