এলন মাস্কের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের জন্য মার্কিন অর্থসাহায্য বন্ধ।


ওয়াশিংটন, ১৬ ফেব্রুয়ারি: মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের জন্য নির্ধারিত অর্থসাহায্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার এলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন "সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতর" এক ঘোষণায় জানায়, নির্বাচনী ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক কাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থসাহায্য বাতিল করা হচ্ছে।
জো বাইডেন প্রশাসনের সময় এই প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ২ কোটি ৯০ লক্ষ ডলার (প্রায় ২৫১ কোটি টাকা) সহায়তা পেত। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই সহায়তা আর পাবে না দেশটি। এছাড়াও, নেপাল, মালি, সার্বিয়া, কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলোর জন্যও অর্থসাহায্য বাতিল করা হয়েছে।

কেন সহায়তা বন্ধ করা হলো?
মাস্কের দফতর জানিয়েছে, মার্কিন করদাতাদের অর্থ বিদেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হবে না। এর ফলে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের গণতন্ত্র এবং রাজনৈতিক কাঠামোর উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি আর্থিক সহযোগিতা কমে যাবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে এবং বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের রাজনৈতিক ও নির্বাচনী সংস্কারে প্রভাব ফেলতে পারে।

বাংলাদেশের ওপর প্রভাব
বাংলাদেশ মূলত এই অর্থ ব্যবহার করত নির্বাচনী ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং রাজনৈতিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য। মার্কিন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশ সরকারের কৌশলগত পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে বাধ্য করতে পারে।

এই সহায়তা বন্ধের ফলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে পর্যবেক্ষক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার  পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url