ইন্টেরিম সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে মহিউদ্দিন রনির তীব্র সমালোচনা



নিজস্ব প্রতিবেদক | ইউরো বাংলা খবর-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত মুখ মহিউদ্দিন রনির সাম্প্রতিক ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। তার বক্তব্যে উঠে এসেছে ইন্টেরিম সরকারের কার্যকারিতা নিয়ে জনগণের হতাশা, নানান খাতের সংস্কার নিয়ে অসন্তোষ, এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন।
ইন্টেরিম সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে?

মহিউদ্দিন রনি তার পোস্টে অভিযোগ করেছেন যে, ইন্টেরিম সরকার জনতার আকাঙ্ক্ষা পূরণের উদ্দেশ্যে গঠিত হলেও বাস্তবে তা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। গত পাঁচ মাসের অর্জন হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে—

"কিছু শপিং সেন্টার থেকে পলিথিন নিষিদ্ধকরণ
হেলিকপ্টারে করে কম্বল বিতরণ
প্রবাসীদের জন্য লাউঞ্জ নির্মাণ
আন্দোলন দমন
লাল গালিচায় খাল খনন
মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে চড়া ভ্যাট আরোপ"

এসব উদ্যোগকে কার্যকর সংস্কার না বলে বরং লোক দেখানো পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

সুশাসনের অভাব ও প্রশ্নবিদ্ধ নীতিমালা

রনি আরও বলেছেন, ইন্টেরিম সরকারের সঙ্গে যারা স্টেকহোল্ডার হিসেবে কাজ করছে, তারাও সরকারের নীতি ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখেন না। সরকার নিজেও জনতার কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
বিশেষত, তিনি শহিদদের বিচার, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর অগ্রগতির অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন ও ফেনীর ত্রাণ বিতরণের সুষম বণ্টন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

উপদেষ্টারা কী করছেন?

পোস্টে রনি উল্লেখ করেছেন যে, আন্দোলনের সময় ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করা ব্যক্তিদের কাছ থেকে তখনকার মতো দ্রুত তথ্য পাওয়া গেলেও, এখন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন।

এছাড়া, ক্ষমতাসীন দলের একাংশ এবং আমলাতন্ত্রের সঙ্গে ইন্টেরিম সরকারের দূরত্ব নিয়েও কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত একটি অংশ পুনর্বাসন ও নিরাপদ প্রস্থান পাচ্ছে, কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবন অনিশ্চিত রয়ে গেছে।

নির্বাচনের দাবি ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, মহিউদ্দিন রনি তার পোস্টের শেষ অংশে ইন্টেরিম সরকারের প্রতি দুটি সম্ভাব্য পথের কথা বলেছেন—

"১. জনগণকে চাতকের মতো অপেক্ষায় রেখে চলমান অনিশ্চয়তা বজায় রাখা
২. দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করে জনগণের হাতে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষমতা তুলে দেওয়া"

তার পোস্টের পর সামাজিক মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট— ইন্টেরিম সরকারের ওপর আস্থা ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবে এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারা পুনরুদ্ধারে কী পদক্ষেপ নেবেl

আপনার মতামত কী? ইন্টেরিম সরকারের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে আপনি সন্তুষ্ট? মতামত দিন আমাদের ফেসবুক পেজে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url