"পর্তুগালে অভিবাসনের নতুন দিগন্ত: জুনে ‘আইমা এন্ট্রির' সুযোগ।

নিউজ ডেস্ক:-পর্তুগালে অভিবাসীদের জন্য নতুন সুযোগ: ২০২৫ সালের জুনে ‘আইমা এন্ট্রি’ ব্যবস্থা আসতে পারে
পর্তুগালের সরকার অভিবাসন নীতিতে নতুন পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে, যার অধীনে ২০২৫ সালের জুন মাসে ‘আইমা এন্ট্রি’ নামে একটি নতুন সুযোগ চালু হতে পারে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও নিয়ন্ত্রিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন এই ব্যবস্থা ‘সেফ এন্ট্রি’র বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে, যা অভিবাসীদের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
তবে, এর আগেই ২০২৪ সালের ৪ জুন থেকে পর্তুগালে অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পূর্বের ‘সেফ এন্ট্রি’ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে, যা ভ্রমণ বা অন্যান্য ভিসায় এসে বসবাসের অনুমতি পাওয়ার সহজ উপায় ছিল। এখন থেকে, যারা পর্তুগালে কাজ করতে ইচ্ছুক, তাদের নিজ নিজ দেশের পর্তুগিজ কনস্যুলেটে নির্দিষ্ট ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। তবে, পর্তুগিজ ভাষাভাষী দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য পূর্বের নিয়মাবলী বহাল থাকবে।  সূত্র(aviationnewsbd.com)

নতুন অভিবাসন নীতিতে ৪১টি প্রস্তাবনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আরও নিয়ন্ত্রিত ও সুশৃঙ্খল করতে সহায়তা করবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবনাগুলো হলো:

কনস্যুলেট সেবার মানোন্নয়ন: বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত পর্তুগিজ কনস্যুলেটগুলোর সেবার মান বৃদ্ধি করা হবে, যাতে আবেদনকারীরা আরও সহজে ও দ্রুত সেবা পেতে পারেন।

অভিবাসন সংস্থার পুনর্গঠন: বর্তমান অভিবাসন সংস্থা আইমা (AIMA) পুনর্গঠন করা হবে, যাতে অভিবাসন প্রক্রিয়া আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ হয়।

বিশেষ পুলিশ ইউনিট গঠন: অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশের একটি আলাদা ইউনিট তৈরি করা হবে, যা অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের উন্নতি: সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যাতে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ করা যায়।

আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য সেন্টার স্থাপন: আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য বিভিন্ন সেন্টার তৈরি করা হবে এবং তাদের আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী দ্রুত সাড়া দেওয়া হবে।


শিক্ষার্থীদের জন্য সরকার আরও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করবে। তবে, শিক্ষার কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর তৃতীয় দেশের শিক্ষার্থীরা কীভাবে নিয়মিত হতে পারবেন, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে, পর্তুগিজ ভাষাভাষী দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার নিশ্চিত করেছে।

এই নতুন নীতিমালা কার্যকর হওয়ার ফলে, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তানসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অভিবাসীদের জন্য পর্তুগালে নিয়মিত হওয়া আগের তুলনায় অনেকটাই কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, ইতোমধ্যে যারা 'সেফ এন্ট্রি' প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদন করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন প্রযোজ্য হবে না; তাদের আবেদন প্রক্রিয়া পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী চলবে।

পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনেগ্রো বলেছেন, পর্তুগালের দরজা বন্ধ হচ্ছে না, তবে যেভাবে অরক্ষিত ছিল, এখন আর সেভাবে থাকবে না। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় পর্তুগাল আসা যাবে, তবে থাকতে হবে কাজের চুক্তি ও আবাসনের নিশ্চয়তা। চাকরি বা নিয়োগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও কড়া নির্দেশনা দেওয়া হবে। সূত্র (aviationnewsbd.com)

২০২৫ সালের জুনে চালু হতে পারে ‘আইমা এন্ট্রি’ ব্যবস্থা, যা অভিবাসীদের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে। সরকার এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়নি, তবে বিভিন্ন সূত্রের মতে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দক্ষ কর্মীদের জন্য পর্তুগালে অভিবাসন আরও সহজ হবে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url