আওয়ামী লীগ শেষ! এবার টার্গেট বিএনপি!
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পতনের পর তাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, হামলা এবং বাড়িঘর দখলের অভিযোগ উঠেছে। এবার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থিত একটি নতুন রাজনৈতিক দল বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন শুরু করতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, যা কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে উদ্ভূত, সম্প্রতি রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তাদের সমন্বয়করা আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন এবং তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন। তাদের বক্তব্যে বলা হয়েছে, "মানবতা বিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার প্রধান আসামি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।"
তবে, সাম্প্রতিক সময়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে মতবিরোধের খবর পাওয়া গেছে। অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ তুলে ইতোমধ্যেই একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২৩টি ইউনিটের নেতারা পদত্যাগ করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে, নতুন রাজনৈতিক দলটি বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন শুরু করতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, ক্ষমতার পালাবদলের পর প্রতিশোধমূলক কার্যক্রম রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
বিএনপি নেতা-কর্মীরা ইতোমধ্যে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সম্ভাব্য হামলা ও নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা কামনা করেছেন। তারা বলছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ করে সকল পক্ষকে সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের পথে এগিয়ে আসা উচিত।
দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে সকল পক্ষের সংযম ও সহনশীলতা প্রদর্শন করা জরুরি। প্রতিশোধমূলক কার্যক্রম পরিহার করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
সর্বোপরি, দেশের স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখতে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার বিকল্প নেই। সকল পক্ষের উচিত প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা।
এ সংক্রান্ত ভিডিওটি দেখতে নিচের নিচে ক্লিক করতে পারেন