রাজধানীর পৃথক এলাকায় ঝুলন্ত পাঁচ মরদেহ উদ্ধার।
স্টাফ রিপোর্টার, ইউরো বাংলা খবর
ঢাকা, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ – রাজধানীর চারটি পৃথক এলাকায় নারী ও শিশুসহ পাঁচ জনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভাটারা, হাজারীবাগ, চকবাজার ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় এ ঘটনাগুলো ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, প্রতিটি ঘটনাই তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে এবং মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত চলছে।
(কাল্পনিক ছবি)
নিহতদের পরিচয়
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহতরা হলেন—
- চকবাজার: ওয়ার্কশপ কর্মী মো. রাকিব (১৯) ও ফটোগ্রাফার সাজ্জাদ আলী নয়ন (২৪)।
- কামরাঙ্গীরচর: শিক্ষার্থী সারিকা হোসেন নাবিলা (১৩)।
- ভাটারা: রিকশাচালক ইউনুস আলী (৩৩)।
- হাজারীবাগ: গৃহবধূ রুপা আক্তার (২৬)।
ঘটনার বিস্তারিত
হাজারীবাগ: রায়ের বাজার সুলতানগঞ্জ রোডের একটি বাসায় রুপা আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কিছু বিষয় নিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন তিনি।
কামরাঙ্গীরচর: খালপাড় অটোস্ট্যান্ড এলাকার একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় কিশোরী সারিকা হোসেন নাবিলার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। জানা গেছে, পড়াশোনার বিষয় নিয়ে পরিবারে কথা কাটাকাটি হয়েছিল।
চকবাজার: ছয়তলা ভবনের একটি কক্ষে ফটোগ্রাফার সাজ্জাদ আলী নয়নের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত নয় পুলিশ। একই এলাকায় ওয়ার্কশপ কর্মী রাকিবের মরদেহও উদ্ধার করা হয়। তার পরিবার জানিয়েছে, রাকিব কিছুদিন ধরে মানসিক চাপে ছিলেন।
ভাটারা: নূরেরচালা এলাকার একটি টিনশেড বাসা থেকে রিকশাচালক ইউনুস আলীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, হতাশা থেকে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বক্তব্য
পুলিশ বলছে, প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
সামাজিক সচেতনতার গুরুত্ব
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করা, মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানসিক সহায়তা সেবার প্রসার এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে।