কৌশলগত ফাঁদে বিএনপি


ডেস্ক রিপোর্ট | ইউরো বাংলা খবর

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ৮ই আগস্টের পর একটি নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই সময়ের পর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলকে মাঠে সক্রিয় হতে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তবে এর পেছনে ছিল সুপরিকল্পিত কৌশল। যাহা মেটিকুলাস প্ল্যানের অংশ।
সরকার বিরোধী দলগুলোর জন্য কিছু জায়গা উন্মুক্ত করে দিলেও বাস্তবে এটি তাদের জন্য একটি কৌশলগত ফাঁদ ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অভিযোগ উঠেছে, বিএনপিকে মাঠে রেখে তাদের দখলদারি, বাণিজ্য ও রাষ্ট্রীয় কিছু পদে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে দেওয়া হয়েছিল, যাতে পরবর্তীতে তাদের ওপর ফ্যাসিবাদী তকমা লাগানো যায়। গ্রাম গঞ্জে সাধারন মানুষের মুখোমুখি করিয়ে সন্ত্রাসী তকমা লাগিয়ে দেওয়া যায়। এতে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় থানায় নিয়োগ দেওয়া কিছু নির্দিষ্ট ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যাতে এই দলটির ইমেইজ শূন্যের কোটায় নেমে যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি ছিল একটি দ্বৈত কৌশল বা "২ ফর্মুলা"—একদিকে বিএনপিকে রাজনীতির মাঠে জায়গা দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা, অন্যদিকে জনগণের দৃষ্টিতে তাদের কার্যক্রমকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা।
বিষয়টি নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি, তবে রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিরোধী দলের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বিতর্ক বরাবরই ছিল, তবে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো আরও নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

এই কৌশলের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য কী? বিএনপি কি আসলেই ফাঁদে পড়েছে, নাকি এটি তাদের জন্য একটি রাজনৈতিক সুযোগ? সময়ই বলে দেবে।

আপনার মতামত জানান আমাদের ফেসবুক পেজে!

ইউরো বাংলা খবর


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url