"টুইন টাওয়ারের ধ্বংস থেকে টাইমস স্কয়ারের সৃষ্টি, ধানমন্ডি ৩২ থেকেও নতুন ইতিহাসের সূচনা!"

নিউ ইয়র্ক থেকে সুবল পাল-

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর সারা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছে আজকের টাইমস স্কয়ার, যা আধুনিক স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন এবং স্মৃতিসৌধ হিসেবে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। ঠিক একইভাবে, জঙ্গি ও ষড়যন্ত্রকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরকেও নতুন করে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

কাল্পনিক ছবি।

আজকের ধানমন্ডি ৩২ শুধু একটি বাড়ি নয়, এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত এক ঐতিহাসিক স্থান। ষড়যন্ত্রকারীরা এটিকে ধ্বংস করে ইতিহাস মুছে ফেলতে চাইলেও, আওয়ামী লীগ নেতারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে ধ্বংসস্তূপ থেকে এটিকে পুনর্গঠন করে আরও দৃষ্টিনন্দন ও ইতিহাসের সাক্ষ্যবাহী স্থানে পরিণত করা হবে।

টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর যুক্তরাষ্ট্র যেমন নতুন এক প্রতীক তৈরি করেছিল, তেমনই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরকে আরও স্মরণীয় ও প্রভাবশালী করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, "বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি শুধু একটি বাড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি একটি আদর্শ। ধ্বংস কখনো আদর্শ মুছে ফেলতে পারে না। বরং, এ থেকেই আমরা নতুন শক্তি নিয়ে সামনে এগিয়ে যাব।"

এই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষ নেতা বলেন, "আমরা ইতিহাসের উত্তরসূরি। ধানমন্ডি ৩২ আমাদের চেতনার উৎস। এটিকে ধ্বংস করে আমাদের মনোবল ভাঙা যাবে না, বরং এখান থেকেই আমরা নতুন ইতিহাস রচনা করব।"

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নেতারা ধানমন্ডি ৩২-এর ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েচেন। এক প্রবাসী নেতা বলেন, "টুইন টাওয়ারের পরিণতি দেখুন, ধ্বংস থেকে কীভাবে সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়েছে। ধানমন্ডি ৩২-ও ঠিক সেভাবে নতুন রূপে ফিরে আসবে, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের পথিক হয়ে।"

এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। একাত্তরের চেতনাকে ধারণ করে ধানমন্ডি ৩২ আবারও বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম গৌরবোজ্জ্বল প্রতীকে পরিণত হবে—এমনটাই প্রত্যাশা করছে দেশবাসী।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url