ট্রাম্পের বক্তব্যে বিতর্কিত অর্থায়ন, তদন্তে ফেঁসে যাচ্ছেন অনেকে।

ট্রাম্পের বক্তব্যে ফাঁস: বাংলাদেশে বাইডেন প্রশাসনের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের তদন্তের ঘোষণা

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিসর শক্তিশালী করার নামে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) কর্তৃক দেওয়া ২৯ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অর্থায়ন নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছেন এবং মার্কিন প্রশাসন এটি তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে।
গতকাল মেরিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্স (সিপিএসি) এ বক্তব্য দেওয়ার সময় ট্রাম্প জানান, বাইডেন প্রশাসনের আমলে বাংলাদেশে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার এমন একটি সংস্থার হাতে গেছে, যার নাম কেউ শোনেনি। সেখানে মাত্র দুজন কর্মী কাজ করে, অথচ তারা বিশাল পরিমাণ অর্থ পেয়েছে।’

ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাইডেন প্রশাসনের আর্থিক সহায়তার নামে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরির অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত হলে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে পারে। অনেকেই মনে করছেন, এই অর্থায়ন ব্যবহারের মাধ্যমে সরকার পতনের চেষ্টা করা হয়েছিল এবং বর্তমানে সেই ষড়যন্ত্রকারীদের অনেকেই বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে আসীন রয়েছেন।

মার্কিন তদন্তের ঘোষণা

ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস এবং তদন্ত সংস্থাগুলো ইউএসএআইডির মাধ্যমে দেওয়া অর্থ কীভাবে ব্যয় হয়েছে, তা খতিয়ে দেখবে। এর ফলে, যেসব সংস্থা ও ব্যক্তি এই অর্থ পেয়েছেন, তারা সরাসরি মার্কিন প্রশাসনের জবাবদিহিতার আওতায় আসবেন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিক্রিয়া

এই ঘোষণার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিরোধী দলগুলো দাবি করছে, বাইডেন প্রশাসনের অর্থায়ন ব্যবহারের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা হয়েছে, যা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। অন্যদিকে, সরকারি দল বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রভাব বাংলাদেশে ফেলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

পালাবার পথ নেই ষড়যন্ত্রকারীদের?

বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন প্রশাসনের এই তদন্তের ফলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অঙ্গনের একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে পারে। বিশেষ করে, যারা এই অর্থায়ন ব্যবহারের মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটানোর চেষ্টা করেছে, তাদের জন্য কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে এই অর্থ কীভাবে ব্যয় হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ হিসাব নেওয়া হবে এবং কোনো ষড়যন্ত্রকারীই ছাড় পাবে না।

এই তদন্তের ফল কী হতে পারে এবং এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কী প্রভাব ফেলবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ট্রাম্পের বক্তব্যের পর এই ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url