পিনাকি ভট্টাচার্য: ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’?
বিশেষ প্রতিবেদক সামী দাস
ফ্রান্সে পলাতক পিনাকি ভট্টাচার্যকে ঘিরে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে তার ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' (RAW)-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন এবং বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতা তৈরি করার একটি সুপরিকল্পিত মিশনে লিপ্ত।
RAW-এর সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ
বিশ্লেষকদের মতে, পিনাকি ভট্টাচার্য ভারতবিরোধী বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ালেও, তার প্রকৃত উদ্দেশ্য হতে পারে ভারতীয় স্বার্থ রক্ষা করা। পর্দার আড়ালে তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিবেশে উত্তেজনা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন।
বিশ্বব্যাপী গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কার্যপ্রণালী নিয়ে গবেষণা করা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন দেশে 'র' (RAW) তাদের প্রভাব বিস্তার করতে চায় এবং বাংলাদেশ তাদের অন্যতম লক্ষ্যবস্তু। পিনাকি ভট্টাচার্যের কার্যক্রম সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ কি না, তা নিয়ে তদন্তের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির অভিযোগ
সাবেক নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী মনে করেন, পিনাকি ভট্টাচার্য পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় উগ্রতা উসকে দিচ্ছেন। তার বক্তব্যে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও বিভেদ সৃষ্টির ইঙ্গিত রয়েছে, যা বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
ড. চৌধুরীর মতে, যদি দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়, তবে এর ফলে লাভবান হতে পারে ভারতীয় সরকার। এতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অস্থির হবে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হস্তক্ষেপের জন্য তৎপর হতে পারে, যা পরোক্ষভাবে ভারতের রাজনৈতিক ও কৌশলগত লক্ষ্য পূরণ করতে পারে।
নকল ওষুধ কেলেঙ্কারি ও শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী আরও অভিযোগ করেন যে, পিনাকি ভট্টাচার্য ওষুধ কেলেঙ্কারির মূল হোতা। তার সংশ্লিষ্টতার কারণে ২৮৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। তিনি বলেন, এই কেলেঙ্কারি শুধু আর্থিক নয়, বরং দেশের স্বাস্থ্যসেবা ও মানবাধিকারের জন্য চরম হুমকি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি সত্যিই তিনি ওষুধ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তবে এটি তার বহুমুখী ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে, যেখানে একটি বড় আন্তর্জাতিক চক্র কাজ করছে।
ভারতীয় স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা?
অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, পিনাকি ভট্টাচার্য এবং তার মতো ব্যক্তিরা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছেন। এর মাধ্যমে তারা বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান, যা ভারতের কৌশলগত লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিকল্পনার চূড়ান্ত লক্ষ্য হতে পারে—
- বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে দেওয়া
- দেশের অর্থনীতি ও স্থিতিশীলতা দুর্বল করা
- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে এনে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের সুযোগ তৈরি করা
- পরবর্তীতে ভারতীয় সামরিক প্রভাব বৃদ্ধি করে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণে আনা
সরকারের করণীয়
ডঃ মনজুর আহমদ চৌধুরী বলেন বাংলাদেশ সরকারের উচিত দ্রুততার এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করে দেখা বর্তমান ইউনু সরকারকে দুর্বল করতে কেন বিদেশে বসে টোপাগান্ডা চড়িয়ে দেশে ওরা আজব পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে যার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব দরবারে নোবেল বিজয়ী ইউনুস সরকারের সমালোচনা হচ্ছে। ডঃ মনজুর আহমেদ চৌধুরী সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন।
ভিডিও লিঙ্ক